কক্সবাজারের আকাশে রোমাঞ্চকর প্যারাসেইলিং
কেবল সৈকত আর ঢেউ দেখে দেখে কতোটুকুইবা সময়ই কাটে! পর্যটক চান আরো একটু রোমাঞ্চ। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুনীল আকাশে উড়ে বেড়ানো এমনই এক রোমাঞ্চ ‘প্যারাসেইলিং’।
প্যারাসেইলিং নামের অ্যাডভেঞ্চারে করে পর্যটক আকাশ থেকে দেখতে পারেন সমুদ্র ও পাহাড়ের নৈসর্গিক সৌন্দর্য । এখন এটি বাংলাদেশেই হচ্ছে। সৈকত থেকে আকাশে উড়াল দিতে পর্যটক গায়ে বেঁধে নিচ্ছেন প্যারাশ্যুট।
সুগন্ধা সৈকতের অদূরে কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র দশ মিনিটের দূরত্বে দরিয়ানগর সাগর তীর থেকে উড্ডয়নের পালা। প্রায় এসে পড়া শীতের এ সময়ে হেলে পড়া সূর্যের দুর্বল তেজে আকাশে উড়ার প্রস্তুতি। গায়ে বেঁধে দেয়া হয় প্যারাশ্যুটের রশি। বালুকাময় তীর ছেড়ে এবার আকাশে নিচে রশি টেনে ধরেছে স্পিডবোট। তার আগে মাত্র ২ মিনিটের একটি ব্রিফ দিয়ে দেন একজন প্যারাসেইলিং ইনস্ট্রাকটর। হাত ধরে রাখা আর নামার সময় রশি টানার নিয়ম এই যা। আকাশের বাতাসে দোল খেয়ে উড়ে উড়ে দেখা যায় দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের ঢেউ, একপাশে সাগর আরেক পাশে পাহাড়। এই দুয়ের মিশেল পাখির চোখে দেখার মতো রোমাঞ্চকর অনভূতি।
রোমাঞ্চ আরো একটু বাড়াতে কয়েকশ’ ফুট ওপর থেকে সাগরে পা ভিজিয়ে আবার উড়াল দেয়ার সুযোগও দেয়া হয়। তারপর তীরের বালুতে নির্বিঘ্নে পা ফেলে নেমে আসা।
দরিয়ানগরে ‘স্যাটেলাইট ভিশন’ এবং হিমছড়িতে ‘ফানফেস্ট’ নামে একই মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন পর্যটকদের জন্য খুলেছে এই অ্যাডভেঞ্চার। আকাশ থেকে একটু সমুদ্রে নামিয়ে আবার আবার উড়াল দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। থাকতে হয় একটু সাহস।
প্যারাসেইলিং প্রতিষ্ঠান ফানফেস্টের কর্মীরা জানান, তাদের কাছে ‘সেফটি ফার্স্ট’। এ কারণে আবহাওয়া অনুকূল না হলে প্যরাশ্যুট উড়ানো হয় না। সে সময় অনেকেই এসে মন খারাপ করে ফিরে যান। কেউ কেউ সারাদিন অপেক্ষা করেন। কেউ কেউ পরের দিন বা তার পরের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বা শীতকালে আবহাওয়া সম্পূর্ণ শান্ত থাকে বলে প্যারাসেইলিংয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ওদের দুই রকমের প্যাকেজ আছে, আপনার সাহস অনুযায়ী উপযুক্ত প্যাকেজটি বেছে নিন
- রেগুলার – ২০০০ টাকা
- এক্সক্লুসিভ – ২৫০০ টাকা (সমুদ্রের মাঝে নিয়ে পানি তে পা স্পর্স করানো)
Comments
Post a Comment