The Sundarbans, Bangladesh. Largest Mangrove Forest In The World - সুন্দরবন ভ্রমনের গল্প
#সুন্দরবন ভ্রমনে যাব এই
ব্যাপার টা কেনো যেনও
আমাকে কখনওই টানেনি।
হয়তোবা অনেক দিন ধরে
ঘরে বসে থাকার কারনেই
নোমান ভাই এর প্যান
প্যান শুনতে শুনতে রাজি
হয়ে যাই। এরপর
বৃত্তের রানা ভাই কে
ফোন করে সিট বুকিং
করে ফেলি। রানা
ভাই শুভ ভাই জিয়ন
ভাই এর সাথে আগে
ট্যুর হলেও শাওন ভাই
এর সাথে দেখাই হলো
প্রথম বার। আর
সাথে ছিলো অভিজ্ঞ জুয়েল
ভাই।
#ঢাকা থেকে প্রায় ৬০ জনের টিম ট্রেনে করে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও আসল ট্যুর শুরু হয়েছিলো খুলনা ৪নং লঞ্চ ঘাট থেকে। লঞ্চে উঠে ট্যুরের প্রথম সুর্যদয় দেখার মধ্যে দিয়ে যাত্রা শুরু হলো। সবাই সকালের নাস্তা করতে লাগলো আর লঞ্চ ধীরে ধীরে রুপসা ব্রিজ, রামপাল, মংলা ছাড়িয়ে এগিয়ে যেতে লাগলো আমাদের প্রথম গন্তব্য হাড়বাড়িয়া এর উদ্দেশ্যে, সাথে অভিজ্ঞ চালক ইমরান ভাই।
#হাড়বাড়িয়া ঘুরে এসে ফ্রেশ
হয়ে পারশে মাছ আর
খাসীর চুই ঝাল এর
স্বাদ নিতে নিতে দুপুরের
খাবার গ্রহন সাথে যশোরের
বিখ্যাত রসগোল্লা। লঞ্চ
কিন্তু এগিয়েই চলছে।
#খাবারের পরেই চলে গেলাম লঞ্চের ছাদে। চললো আড্ডাবাজি। বাঘের আশায় এই দিক ওই দিক তাকালেও দেখা মিলে গেলো কুমিরের। নদীর পাড়ে শুয়ে আরামসে দিবা নিদ্রা দিচ্ছে।
#প্রথম দিন আর
কোনও স্পটে নামতে হবে
না, তাই আড্ডাবাজিই চললো
ভরপুর। এর
মাঝে গ্রুপের অন্যদের সাথে পরিচয় পর্ব
হয়ে গেলো। লঞ্চের
ছাদ থেকেই সুর্যাস্ত দেখার
পরেই শুভ ভাই এর
বিখ্যাত বাঁশির আওয়াজ চলে
আসলো, অর্থাৎ সন্ধ্যার নাস্তা
রেডি, গরম গরম লুচি,
বুটের ডাল, মতিচুর লাড্ডু,
আহ......এরপর আবার ছাদে
আড্ডা। একটা
ব্যাপার বোঝা হয়ে গেলো
পরের দুই দিনও এভাবে
মজার মজার খাওয়া খেয়ে
আর বনের সুন্দর প্রকৃতি
দেখতে দেখতে সময় কেটে
যাবে, আর কোনও স্পটে
আসলে লঞ্চ থেকে নেমে
সেটা ঘুরে দেখা।
#চলতে চলতে আমরা চলে আসলাম কটকা ফরেস্ট অফিসের সামনের খালে, এখানেই আজকে রাতে নোঙর করা হবে। সকাল ৬ টায় উঠে ট্রলারে ক্যানাল ক্রুজিং করে কটকা বিচের উদ্দেশ্যে যাত্রা। কটকা বিচ, জেটি ঘাট, টাইগার টাওয়ার, কটকা অফিস পাড়া, টাইগার টিলা এবং বনের মধ্যে কিছুক্ষণ হাইকিং করে দুপুরের মধ্যে লঞ্চে ফেরত আসবো। রাতের খাবার (ফ্রাইড রাইস+চিকেন ফ্রাই+ফিস কারি+চাইনিজ সবজি+কোক) খেয়ে সবাইকে তারাতারি ঘুমাতে যেতে বলা হলো। কিন্তু গোপনে খবর চলে আসলো রাতে বোট নিয়ে বের হওয়া হবে একদম পাড় দিয়ে ঘুরে আশার জন্য, যদি কিছু (মামা) চোখে পরে। রাতের অন্ধকারে গা ছমছমে একটা পরিবেশে একদম বনের পাশ দিয়ে বোটে করে যাওয়ার অনুভুতিটাই অন্য রকম। তবে টর্চের আলোয় হরিণ ছাড়া কিছু দেখা যায়নি।
#সকাল ঠিক ৬ টায় চা বিস্কুট খেয়ে বের হয়ে গেলাম কটকা জামতলা বিচের উদ্দেশ্যে। পায়ে হেটে প্রায় ৯০ মিনিট আশা যাওয়ার পথ। সাথে গান ম্যান, সবাই এক লাইনে হাটা শুরু। গ্রুপ ট্যুরে সবাইকে এক যায়গায় করে আনা নেয়া করা টা যে কি পরিমানে প্যারা সেটা আগেও দেখেছি এবং প্রত্যেকবার রানা ভাই শুভ ভাই শাওন ভাই হাসি মুখে এই কঠিন কাজ টা করে ফেলে। ব্যাক করার সময় এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা হলো। সাথে অভিজ্ঞ গাইড থাকলে অনেক সুবিধাই পাওয়া যায়। গান ম্যান সবাইকে নিয়ে ফিরতি পথ ধরলো, পিছনে থেকে জুয়েল ভাই বললো আমার সাথে আসেন এর পর উনি বনের ভিতর ঢুকে গেলেন, একটু সামনে যেতেই দেখি একটা হরিন মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর পাতা খাচ্ছে।
#এরপর জেটি ঘাট,
টাইগার টাওয়ার, কটকা অফিস পাড়া,
টাইগার টিলা ঘুরে আবার
লঞ্চে চলে আসলাম।
সকালের নাস্তা খেতে খেতে
হিরন পয়েন্ট এর উদ্দেশ্যে
যাত্রা। বিকালে
হিরন পয়েন্ট হয়ে দুবলার
চর ঘুরে রাতেই রওনা
হয়ে গেলাম করমজলের উদ্দেশ্যে।
#ভোরে পৌছালেও নাস্তা
করে ধীরে সুস্থে করমজলে
প্রবেশ করলাম। করমজল
ঘুরে এসেই বুঝলাম বিদায়
ঘন্টা বেজে গেছে।
আরেকটি ট্যুরের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে......
#করমজল থেকে রওনা
দিয়ে সুর্যাস্ত দেখতে দেখতে খুলনা
এসে ভিড়লাম। সুর্য
ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে
শেষ হয়ে গেলো প্রথম
সুন্দরবন ভ্রমণ, বৃতের সাথে
আরেকটি ট্যুর।
#ট্যুর শেষ হয়ে যায় কিন্তু এর রেশ রয়ে যায় স্মৃতির পাতায় পাতায়...........
Comments
Post a Comment